১১ মৌসুম, প্রতিবারই নতুন আশা, নতুন স্বপ্নের বাসা, দেদার খরচ, দলে বিধ্বংসী সব তারকা, কিন্তু সবকিছুর শেষে কেবলই হতাশা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরে বিরাট কোহলির নেতৃত্বের অধ্যায় শেষ হলো কোনো ট্রফি ছাড়াই। তিনি যদিও বলছেন, প্রতি মৌসুমেই নিজের শতভাগের বেশি ঢেলে দিয়েছেন দলের জন্য।অধিনায়ক কোহলির আইপিএল ট্রফি জয়ের শেষ আশা শেষ হয়ে যায় সোমবার। এবারের আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে যায় বেঙ্গালোর।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার দলের অভিযান শুরুর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বেঙ্গালোরের অধিনায়ক হিসেবে এই মৌসুমই তার শেষ। এরপর এই দলে খেলে যাবেন কেবল ক্রিকেটার হিসেবে।
অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচের পর কোহলি পেছন ফিরে তাকিয়ে বললেন, শিরোপা না পেলেও তার নিবেদনে কোনো ঘাটতি ছিল না।“আমি চেষ্টা করেছি এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে, যেখানে তরুণরা এসে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে এবং বিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারবে। এটা চেষ্টা করেছি ভারতীয় দলেও। আমি কেবল বলতে পারি, নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। জানি না, কতটা প্রতিফলন পড়েছে। তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্বে প্রতি মৌসুমেই নিজের ১২০ ভাগ দিয়েছি।”
আগামী আইপিএলের আগে হবে ‘মেগা অকশন।’ এটিকে নতুন করে দল গোছানোর সুযোগ বলছেন কোহলি। তবে নেতৃত্ব ছাড়লেও বেঙ্গালোর না ছাড়ার কথা নিশ্চিত করলেন আবারও। অন্য দলে বেশি অর্থের হাতছানি থাকলেও যাবেন না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।
“আগেও যা বলেছি, ক্রিকেটার হিসেবে এখন থেকে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। পরের তিন বছরের জন্য দল গুছিয়ে নেওয়া, পুনর্গঠনে দারুণ সময় এখনই এবং এমন লোকদের আনার, যারা সামনের পথচলায় এই সংস্কৃতি ও এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পরের ধাপে নিয়ে যাবে।”
“নিজেকে অন্য কোথাও খেলতে দেখছি না আমি। বৈষয়িক অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে বিশ্বস্ততা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছে এবং আইপিএলে নিজের শেষ দিনটি পর্যন্ত আমারও অঙ্গীকার থাকবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি।”
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।